December 22, 2024, 9:45 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক,শৈলকুপা(ঝিনাইদহ)
সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কঠোর লকডাউনের ৭ম দিনে উপজেলা শহরে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। আগের মতই মানুষ রাস্তায় নেমেছে। নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। খোলা হচ্ছে কিছু কিছু দোকানপাট।কোন বাধাই মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন উপজেলার কেউ না কেউ মৃত্যুর মিছিলে পা দিলেও এব্যাপারে তেমন কোন সচেতনতা নেই,শুধু উপজেলা শহর নয় উপজেলার বিভিন্ন বাজার ছাড়াও পাড়া মহল্লায় অবাধে চলাফেরা করার ফলে সাধারণ মানুয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে ।
বৃহস্পতিবার উপজেলা শহরের কবিরপুর, চৌরাস্তা মোড়, হলমার্কেট, হাজী মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে নিত্যদিনের মত রাস্তায় মানুষের চলাচল বেড়েছে। মুদি দোকান থেকে শুরু করে কিছু কিছু পোশাকের দোকানও খুলতে দেখা গেছে। দোকানে একটি পাল্লা খোলা রেখে চলছে বেচা-কেনা। বেশীর ভাগ দোকানীদের দেখা গেছে দোকানের সামনে বসে থাকতে। কেও মালামাল কিনতে এলে দোকান খুলে মালামাল বেচাকেনা করছে। রিক্সা, ভ্যান, মোটর সাইকেল যোগে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের ভূমিকা যথেষ্ট থাকলেও সাধারণ জনগণের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। কোন রকম মানুষের উপস্থিতি ঠেকানো যাচ্ছে না। পুলিশের কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়লেও রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে তারা।
অটো চালক বসির বলেন, আর কতদিন বসে থাকবো বাড়িতে। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমেছি। আয় রোজকার না করলে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরবো।
বাজারের মুদি দোকানী কালা সাহা বলেন, আমরা বেচাকেনা না করতে পেরে খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন পার করছি। আর কিছুদিন এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।
সেই সাথে উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেলেও আগের মত ততোটা কঠোর ছিল না। কিছু কিছু বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন,স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১২টা পর্যন্ত কাচাবাজার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে । তবে সরকারী বিধি বিধান না মানলে যে কোন সময় বাজার বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়াও সবাইকে ঘর থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছি । আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply